Skip to playerSkip to main contentSkip to footer
  • 5/8/2020
প্রেম এবং বিয়ের ধরন পাল্টে যাচ্ছে জাপানে। এক সময়ে ডেটিং বা প্রেম করা থেকেই জীবন সঙ্গী বেছে নিতেন জাপানিরা। কিন্তু এখন যুবক, যুবতীরা ডেটিং বা প্রেম করা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। বিয়ে করছেন কোনো এক বন্ধু বা বান্ধবীকে। এক্ষেত্রে পরিচয় বা রোমান্সের কোনো দীর্ঘায়িত হওয়ার প্রয়োজন নেই। অফিসে কোনো মেয়ে সহকর্মীকে পছন্দ হলেই বিয়ে করে বসছেন পুরুষ সহকর্মী। দেশটির সরকারি এক জরিপে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। লন্ডনের অনলাইন দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট এ খবর প্রকাশ করেছে।

খবরে বলা হয়, এমনটা শুধু সাধারণ জাপানিদের ক্ষেত্রেই ঘটছে না, নায়ক নায়িকারাও এমন পথ বেছে নিচ্ছেন। দেশটির ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব পপুলেশন অ্যান্ড সোশ্যাল সিকিউরিটি রিসার্চ ওই জরিপ পরিচালনা করে। তাতে দেখা যায় ৬৯ ভাগ পুরুষ ও ৫৯ ভাগ যুবতীর মধ্যে কোন প্রেমের সম্পর্ক নেই। অর্থাৎ তাদের নেই রোমান্টিক পার্টনার।

জরিপের ফল বের হওয়ার পর বিবাহ বিষয়ক একটি ওয়েবসাইট রিপোর্টে সয়লাব হয়ে যাচ্ছে। তাতে বলা হয়েছে, যুবক-যুবতীরা এখন প্রেম বাদ দিয়ে বান্ধবী বা বন্ধুকে বিয়ে করছে। উল্লেখ্য, বিশ্বে সবচেয়ে কম জন্মহার দেশের মধ্যে অন্যতম জাপান। গত ৫ বছরে সেখানে প্রতি ১০০০ মানুষের বিপরীতে সন্তান জন্ম নিয়েছে মাত্র ৮.৪টি। দেশটিতে বর্তমানে জনসংখ্যা ১২ কোটি ৭০ লাখ।
২০৬০ সালের মধ্যে তা কমিয়ে ৮ কোটি ৭০ লাখ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। মাতোমি নাভার নামের ওয়েবসাইটে যেসব রিপোর্ট পোস্ট করা হচ্ছে তাতে বলা হচ্ছে, কোনো অফিসে একজন নারী সহকর্মী চাকরি করছেন ১০ বছর ধরে। তাকে বিয়ে করেছেন তারই আরেক সহকর্মী। এ ধারাকে স্থানীয় ভাষায় নাম দেয়া হয়েছে ‘কোউসাই জিরো নিচিকোন’। অর্থাৎ ডেটিং ছাড়াই বিয়ে।

মাত্র একমাসের পরিচয়ের পর ২০১৫ সালে অভিনেত্রী কোজি ইয়ামামোতোকে বিয়ে করেছেন জাপানের অভিনেতা মাকি হোরিকিতা। গত মাসে ‘জোসি স্পা!’ ম্যাগাজিনে এ নিয়ে একটি কলাম প্রকাশিত হয়েছে। তাতে বিয়ে করতে পাত্রী খোঁজার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে আত্মহত্যাকে। এর ফলে জাপানে প্রচলিত পারিবারিক বিয়ের রীতি এখন অনেকটাই ম্লান হতে চলেছে।

Category

😹
Fun

Recommended