Skip to playerSkip to main content
  • 8 years ago
দাম বাড়তে পারে যেসব পণ্যের

২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট অনুসারে যেসব পণ্যের দাম বাড়তে পারে:

সাবান-ডিটারজেন্ট: সাবান ও সাবান হিসেবে ব্যবহৃত সারফেস অ্যাকটিভ, সমজাতীয় পণ্য এবং ডিটারজেন্ট আমদানির ওপর সম্পূরক শুল্ক ২০ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশে প্রস্তাবের ফলে এগুলোর দাম বাড়বে।

বিদেশি বিস্কুট: বিদেশি মিষ্টি বিস্কুট ও বিস্কুটজাতীয় পণ্যের (ওয়্যাফেলস, ওয়েফার ইত্যাদি) ওপর আরোপিত সম্পূরক শুল্ক ৪৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫০ শতাংশে প্রস্তাব করায় এগুলোর দাম বাড়তে পারে।

বিদেশি লবণ: বিদেশ থেকে লবণ আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক হার ২০ শতাংশ থেকে ২৫ শতাংশ করার প্রস্তাবের ফলে এই নিত্যপণ্যটির দাম বাড়তে পারে।

রড: রড তৈরির কিছু কাঁচামালে কর বাড়ানোর পাশাপাশি রডের ওপর টনপ্রতি সুনির্দিষ্ট ৪৫০ টাকার পরিবর্তে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে। এক টন রডের দাম যদি ৫০ হাজার টাকা হয়, তাহলে এখন ভ্যাটের পরিমাণ দাঁড়াবে সাড়ে ৭ হাজার টাকা। ফলে পণ্যটির দাম বাড়বে।

মশার কয়েল: মশার কয়েল, অ্যারোসল ও মসকুইটো রিপেলেন্ট আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে ২৫ শতাংশে তোলার প্রস্তাব করায় পণ্যগুলোর দাম বাড়বে।

ইলেকট্রিক যন্ত্রাংশ: ইলেকট্রিক পণ্যের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ আমদানিতে শুল্ক হার বিদ্যমান ১০ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশে প্রস্তাবের ফলে এ ধরনের পণ্যের দাম বাড়বে।

পোলট্রি ফিড: পোলট্রি ফিড বা হাঁস-মুরগির খাবার আমদানিতে শুল্ক হার ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করার প্রস্তাবের কারণে হাঁস-মুরগির উৎপাদন খরচ বাড়বে। এতে এগুলোর দাম বাড়বে।

প্লাস্টিকের পণ্য: প্লাস্টিকের তৈরি বাথটাব শাওয়ার বাথ, সিঙ্ক, ওয়াশিং বেসিন, বিডেট, ল্যাভেটরি আমদানির ক্ষেত্রে সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করায় এগুলোর দাম বাড়তে পারে।

বিদেশি জুতা: বিদেশ থেকে বিভিন্ন ধরনের জুতা আমদানির ক্ষেত্রে সম্পূরক শুল্ক ৪৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করায় সর্বজনীন ব্যবহারের এই পণ্যের দাম বাড়বে।

বিদেশি পোশাক: ছেলেদের ও মেয়েদের পরিধেয় শার্ট-স্যুট-জ্যাকেট, ট্রাউজার, ব্লাউজসহ বিভিন্ন ধরনের বিদেশি পোশাক আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক ৪৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করার প্রস্তাবে এগুলোর দাম বাড়বে।

সিল্কের কাপড়: সিল্ক বা সিল্কের ওভেন ফেব্রিকস বা কাপড় আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫০ শতাংশে তোলার প্রস্তাবে এর দাম বাড়বে।

রং ও ভার্নিশ: রং ও ভার্নিশ আমদানির ক্ষেত্রে সম্পূরক শুল্ক হার ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করায় এ পণ্যের দাম বাড়তে পারে।

যেসব পণ্যের দাম কমতে পারে

২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট অনুসারে যেসব পণ্যের দাম কমতে পারে:

দেশি কম্পিউটার-ল্যাপটপ: স্থানীয় পর্যায়ে কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ট্যাব, সেলুলার ফোন ও আইপ্যাডের সংযোজন এবং উৎপাদন উৎসাহিত করতে এ খাতের যন্ত্রাংশ ও উপকরণ আমদানিতে শুল্ক রেয়াতি সুবিধা প্রদানের প্রস্তাব করায় এগুলোর দাম কমতে পারে।

দেশি রেফ্রিজারেটর: রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজারের স্থানীয় উৎপাদন পর্যায়ে এবং এ দুটি পণ্য তৈরিতে ব্যবহৃত উপকরণ ও খুচরা যন্ত্রাংশ আমদানির ক্ষেত্রে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ভ্যাট বা মূসক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ফলে দেশি রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজারের দাম কমবে।

টিস্যু-টয়লেট পেপার: বিদেশি টয়লেট পেপার, টিস্যু পেপার, টাওয়েল বা ন্যাপকিন পেপার ও সমজাতীয় পণ্য আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশে আরোপের প্রস্তাবে এসব পণ্যের দাম কমতে পারে।

এয়ারকন্ডিশনারের যন্ত্রাংশ: বিদেশ থেকে এয়ারকন্ডিশনারের যন্ত্রাংশ আমদানিতে শুল্ক হার ৬০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করার প্রস্তাবে এগুলোর দাম কমবে।

এলপি গ্যাস সিলিন্ডার: লিকুইফাইড বা তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস প্রকল্প স্থাপনের যন্ত্রপাতি, যন্ত্রাংশ ও উপকরণ আমদানিতে শুল্ক ছাড় এবং এলপিজি সিলিন্ডার (৫ হাজার লিটারের নিচে) তৈরির কাঁচামালের ওপর বিদ্যমান আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করার প্রস্তাবে এটির দাম কমবে।

টিউব ও পাইপ: টিউব ও হোস পাইপ আমদানির ক্ষেত্রে আরোপিত সম্পূরক শুল্ক ৩০ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করার প্রস্তাবের ফলে এ পণ্যের দাম কমতে পারে।

সিরামিক পণ্য: বাথ টাব, সিঙ্ক, ওয়াশ বেসিন, ইউরিনালসহ সিরামিকের বিভিন্ন পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে সম্পূরক শুল্ক ৬০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫০ শতাংশ করার প্রস্তাবে এসবের দাম কমতে পারে।

কেশ পরিচর্যার সামগ্রী: কেশ পরিচর্যার সামগ্রী আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক হার ৬০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫০ শতাংশে নামিয়ে আনার প্রস্তাবে এগুলোর দাম কমতে পারে।

কৃষি যন্ত্রপাতি: কৃষি যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশ তৈরিতে ব্যবহার্য কিছু উপকরণে শুল্ক রেয়াত দেওয়ার ফলে নাট-বল্টু ও গিয়ারসহ এসব যন্ত্রপাতির দাম কমতে পারে।

Category

🗞
News
Be the first to comment
Add your comment

Recommended