গৃহস্থের রান্নাঘর থেকে উদ্ধার অজগর ৷ রান্নাঘরের সিলিংয়ে বিশাল মাপের সাপ দেখে চক্ষু চড়কগাছ গৃহস্থের। শনিবার জলপাইগুড়ি শহর সংলগ্ন আলাদা আলাদা জায়গা থেকে 2টি অজগর উদ্ধার হয়। এদিন আরেকটি অজগর উদ্ধার হয়েছে বালাপাড়া ডাম্পিং গ্রাউন্ডের পাশেই ৷ ওই অজরগটিকে লেজকাটা অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ৷ এক মাসে চারটি অজগর সাপ উদ্ধার হল। আতঙ্কে জলপাইগুড়ির পাহাড়পুর।তিস্তা নদী সংলগ্ন এই এলাকাটি যেন অজগরের নতুন আস্তানায় পরিণত হয়েছে। ওই এলাকা থেকে একমাসের মধ্যে উদ্ধার হয়েছে 4টি বিশাল অজগর সাপ ৷ শনিবার উদ্ধার হওয়া 2টি অজগরের মধ্যে একটির দৈর্ঘ্য় প্রায় 12 ফুট ও অন্যটির সাইজ 10 ফুট ৷ উদ্ধার কাজে যুক্ত পরিবেশপ্রেমী অঙ্কুর দাস বলেন, "গত অক্টোবরের ভয়াবহ বন্যার পর থেকেই তিস্তার পাশ্ববর্তী বিস্তীর্ণ এলাকায় অজগরের আনাগোনা বেড়েছে। আমরা ইতিমধ্যেই চারটি অজগর উদ্ধার করেছি। পাহাড়পুর-সহ বিভিন্ন এলাকায় তিস্তা নদীর দুইপাশে এরা থাকে ৷ বন দফতরের উচিত নজরদারি চালানোর।"বন দফতর ইতিমধ্যেই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে যৌথ নজরদারি শুরু করেছে। উদ্ধার হওয়া অজগরগুলিকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর গভীর জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে। এলাকায় আরও সাপ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে, বলে জানা গিয়েছে বন দফতরের তরফে ৷ টানা অজগর উদ্ধারে পাহাড়পুরে যেমন আতঙ্ক বাড়ছে, তেমনি পরিবেশপ্রেমীদের উদ্যোগে খানিকটা স্বস্তিও ফিরছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।স্থানীয় বাসিন্দা ভূপতি রায় বলেন, "গতকালও একটি অজগর সাপ ধরা হয়। আজও 2টি প্রমাণ মাপের অজগর সাপ উদ্ধার হল। পাহাড়পুর এলাকার মানুষজন আতঙ্কিত! মনে হয়, বন্যার সময় নদীতে ভেসে এসেছিল। একে একে উদ্ধার হচ্ছে। অজগর গৃহস্থের হাঁস, মুরগি লোভেই আসছে ৷
Be the first to comment