Skip to playerSkip to main contentSkip to footer
  • 6/15/2021
তেঁতুলিয়া নদীর বুক চিরে জেগে ওঠা চরের নাম চন্দ্রদীপ। পটুয়াখালীর বাউফলের নদীবেষ্টিত এ ইউনিয়নে ২৬ হাজার মানুষের বসবাস। এখানকার মানুষের প্রধান পেশা মাছ শিকার ও কৃষি কাজ। এ চরের নারীরা স্বাস্থ্য সেবার দিক দিয়ে অনেক সুবিধাবঞ্চিত। ওই চরে পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের কর্মীরা না যাওয়ায় অনেক সময় সঠিক পরামর্শ ও চিকিৎসাও পান না তারা। ফলে অপুষ্টি ও নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান অনেক মা।

গত ১১ মার্চ সোমবার ইয়াসমিন বেগম নামে এক গৃহবধূ তিন নম্বর ছেলে সন্তান জন্ম দিয়েছেন। সন্তান ও মা দুজনই সুস্থ আছেন।

৫নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ চরমেয়াজান গ্রামে তাদের বাড়িতে বসে কথা হয় এ প্রতিনিধির সঙ্গে। ইয়াসমিন বেগম জানান, সোমবার সন্তান হয়েছে। কোনো ডাক্তার লাগেনি। পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের স্বাস্থ্যকর্মী একজন নারী তাকে দুই মাস আগে দেখে গেছে। এরপরে আর তিনি আসেননি। ডেলিভারি করানোর জন্য কোনো ডাক্তার বা সন্তানকে সুস্থ রাখতে কোনো পরামর্শও দেয়া হয়নি তাকে।

জেলে মামুন হাওলাদার বলেন, আমরা গরিব মানুষ। মাছ ধরে জীবন চলে। বাচ্চা হওয়ার দুই মাস আগে স্বাস্থ্যকর্মী আসছিল। পরে আর কেউ আসেনি।

একই গ্রামের জেলে বাবুল মিয়ার স্ত্রী সারমিন বেগম সন্তান সম্ভবা। তিনি জানান, গর্ভধারণের পর তিনবার স্বাস্থ্যকর্মী এসেছিল। তখন চেকআপ করেছিল। তখন তার কাছ থেকে আয়রন আর ক্যালসিয়াম ওষুধ কিনে খেয়েছিলাম। দুই মাস যাবৎ তিনি আমাদের চরে আর আসেনি।

৪নং ওয়ার্ডের চরঅডেল গ্রামের খাদিজা, নাজমা ও শাহিদা বেগম জানান, পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের আপাদের পরামর্শে তিন বছর মেয়াদী স্থায়ী পদ্ধতি গ্রহণ করেছিলাম। চার বছর হতে চলেছে, স্বাস্থ্যকর্মী না আসায় ইনজেকশন নিতে পারছি না। তাই সন্তান নিতে পারব কিনা সেটা নিয়ে চিন্তায় আছি।

চন্দ্রদীপ ইউনিয়ন পরিষদের নারী সদস্য মোসা. আফরোজা বেগম বলেন, বাউফলে বসে বসে বেতন নেয়, আর এখানে আসে না। ফোন করলেও আসে না। মাসেও একবার আমার চরে আসে না, এটি কী বিধান?

এনজিও কর্মী স. ম দেলোয়ার হোসেন দিলিপ জানান, দূর্গম চরের মানুষ অনেক অসহায়। সবসময় স্বাস্থ্য কর্মীরা না যাওয়ায় ওই এলাকার মানুষগুলো সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত।

এ বিষয়ে জেলা পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের উপ পরিচালক ডা. মু. জসিম উদ্দিন মুকুল জানান, চন্দ্রদীপ একটি নবসৃষ্ট ইউনিয়ন। ও

Category

🗞
News

Recommended