Skip to playerSkip to main content
  • 2 years ago
তোপধ্বনি আর মৃন্ময়ী দেবীর পট আবাহনের মধ্যদিয়ে বিষ্ণুপুরে মল্লরাজ বাড়ীতে সূচনা হল মহাপুজোর। মল্লরাজ বংশের কূল দেবী মা মৃন্ময়ীর পূজো বলিনারায়ণী রীতি মেনে হয়ে আসছে।তাই নবম্যাদি কল্পারম্ভে শুরু হয় এই পূজো। পটে আঁকা বড়ো ঠাকুরানী, মেজ ঠাকুরানী ও ছোটো ঠাকুরানীর পুজো এখানকার মুল বৈশিষ্ট্য।৯৯৭ খ্রীস্টাব্দে উনবিংশতম মল্লরাজ জগৎ মল্লের প্রতিষ্ঠিত এই পুজো এবার ১০২৭ বছরে পড়ল। এই পুজো মল্লভূম তথা বিষ্ণুপুরের রাজ পরিবারের ইতিহাসকে প্রতিবছর মনে করিয়ে দেয় প্রতিটি মল্লভূমবাসীকে। মল্লরাজাদের রাজ্য পাট না থাকলেও মল্লভূম তথা সারা বিষ্ণুপুরের বাসিন্দারা আজও এই পুজোয় মাতেন।রাজ পরিবারের সদস্যরা পুজোর আয়োজন করে আসছেন যথারিতি। মল্ল রাজ পরিবারের অন্যতম সদস্য জ্যোতি প্রকাশ সিংহ ঠাকুর বলেন, রাজ পরিবারের এই পুজোয় জৌলুশ, জাঁকজমকের থেকেও প্রাধান্য দেওয়া হয় নিয়ম,নিষ্ঠার ওপর।রাজ পুরোহিত মল্লভূমের হাজার বছরেরও প্রাচীন পুঁথি মেনে পুজো করেন এখানে।চিরাচরিত রিতী অনুযায়ী মল্লভূমে আজ থেকেই সূচনা হয়ে গেল শারদীয়া দুর্গপুজার।
মল্লরাজ পরিবারের পুরোহিত
সোমনাথ মুখোপাধ্যায়, বলেন,জিতা অষ্টমীতেই এখানে দেবীর আবাহন হয় এবং নবম্যাদিকল্পে দেবীর পুজোর সুচনা হয়। এই পুজোর আচার বলিনারায়নী রিতী অনুযায়ী হয়ে থাকে।যার সাথে অন্য কোন পুজোর মিল নেই।
এক সময় দেবী মৃন্নয়ীর পুজোর জৌলুশ ছিল নজর কাড়া।এখানকার কামানের তোপধ্বনি শুনে সারা মল্লভুম জুড়ে সন্ধিক্ষণ নির্নয়ের চল ছিল।এখনও নবম্যাদিকল্প থেকে সন্ধিক্ষণ পর্যন্ত কামানের তোপধ্বনির রেওয়াজ চালু আছে। প্রতিদিন নটি করে তোপ দাগা হয়। তবে আগের মতো বিশালাকার কামান ফাটানো হয় না। এখন আকারে অনেক ছোট কামানের তোপ দাগা হয়। আজ তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দেবীর আরাধনায় ব্রতী হলেন সারা মল্লভুম বাসী।

Category

🗞
News
Be the first to comment
Add your comment

Recommended